PaidVerts

Friday, December 25, 2015

ওয়ানডেতে সেরা দশ বোলিং স্পেলে মুস্তাফিজ-রুবেল

২০১৫ সালের সেরা দশ বোলিং স্পেলের তালিকা করেছেন ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। তালিকায় বিশ্বসেরা বোলারদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানও জায়গা পেয়েছেন। রুবেল হোসেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বোলিংয়ের জন্যে চতুর্থ স্থানে ও মুস্তাফিজুর রহমান ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভালো বোলিংয়ের জন্যে মনোনিত হয়েছেন। তবে ভারতের কোনো বোলারকে সেরা দশের তালিকায় জায়গা দেয়নি টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সেরা দশ স্পেলের বোলাররা হলেন
১. টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড) :  বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র নয় ওভারে ৩৩ রানের খরচে সাত উইকেট নেন টিম সাউদি। তার স্পেলটি ছিল এরকম: ৯-০-৩৩-৭।

২. ট্রেন্ট বোল্ট(নিউজিল্যান্ড):  বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২৭ রানের খরচে পাঁচ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। তার স্পেলটি ছিল এরকম: ১০-১-২৭-৫

৩. মিচেল স্ট্রার্ক (অস্ট্রেলিয়া): ট্রেন্ট বোল্টের পর একই ম্যাচে ঝড় তুলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। মাত্র ২৮ রানে ছয় উইকেট নেন স্টার্ক। তার বোলিং স্পেল ছিল ৯-০-২৮-৬।

৪. রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ): ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে ৫৩ রানে চার উইকেট নেন রুবেল। ম্যাচের শেষ দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের অঘোষিত নায়কে পরিণত হন রুবেল। তার বোলিং স্পেল ছিল এরকম: ৯.৩-০-৫৩-৪।

৫. ইমরান তাহির(দক্ষিণ আফ্রিকা) : বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে দূত্যি ছড়ান ইমরান তাহির। তার স্পিন ঘূর্ণিতে লঙ্কানরা ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায়। লেগ স্পিনার ২৬ রানে নেন চার উইকেট। তার বোলিং স্পেল ছিল এরকম: ৮.২-২-২৬-৪।

৬. মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ): ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে নিজের জাত চিনিয়ে দেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নেন ছয় উইকেট। তার বোলিং তোপে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় ভারতকে। মুস্তাফিজ ৪৩ রানে নেন ছয় উইকেট। তার স্পেল ছিল এরকম: ১০-০৪৩-৬।

সেরা বোলিং স্পেলের তালিকায় শেষ চার বোলাররা হচ্ছেন ক্যাসিগো রাবাদা (৬/১৬), মিচেল ম্যাকক্লগান, নিউজিল্যান্ড( ৪/৩৬),  মরনে মরকেল (৪/৩৯) ও মিচেল মার্শ (৫/৩৩)।

অাজ শুভ বড়দিন

আজ ২৫ ডিসেম্বর। বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হচ্ছে বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে হিসেবে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উদযাপনে দিনটি পালন করছেন।

বড়দিন পালনের মূল উদ্দেশ্য যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উদযাপন। বড়দিন উদযাপনে গির্জাগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার। প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মানবমুক্তির উদ্দেশে যিশুর পৃথিবীতে আগমনের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বড়দিনের প্রার্থনার প্রধান অঙ্গ। মূলত সৃষ্টিকর্তার স্তবস্তুতি এতে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এ ছাড়া যেরুজালেমের বেথলেহেম নগরের গোয়ালঘরে যিশুর জন্মের কাহিনী পাঠ এবং এর ওপর বিশেষ আলোচনা হয়ে থাকে।


বড়দিন উপলক্ষে ঢাকার গির্জা ও বড় বড় হোটেল সেজেছে নতুন সাজে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই দেশের বড় গির্জাগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা। এছাড়া বড়দিনের সকালে ছোট-বড় সব গির্জায় আবারও বিশেষ উপাসনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন পোশাক পড়ে, সেজেগুজে সব বয়সের খ্রিষ্টানরা এতে অংশ নিচ্ছেন। সারা দিন ধরে গির্জাগুলোতে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। অধিকাংশ গির্জায়ই এরপর অনুষ্ঠিত হবে প্রীতিভোজ। সবাই একসঙ্গে খাওয়ার মাধ্যমে খ্রিষ্টীয় সহভাগিতা ছড়িয়ে দেবেন।

রাজধানীর রমনা সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল, তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা, গ্রিনরোডে ইম্মানুয়েল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চসহ রাজধানীর বিভিন্ন চার্চে বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বড়দিন উপলক্ষ্যে ঢাকার পাঁচতারকা মানের হোটেলগুলো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দিন কয়েক আগে থেকেই। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, রূপসী বাংলা হোটেল, র্যা ডিসন ওয়াটার গার্ডেন, দ্য ওয়েস্টিন হোটেলসহ আরও কয়েকটি হোটেল সাজানো হয়েছে নবসাজে। হোটেলগুলোতে আনা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ক্রিসমাস ট্রি। আলোয় আলোয় সেজে উঠেছে হোটেলগুলো। ক্রিসমাস ট্রিতেও রয়েছে এই আলোর বিন্যাস। খাবার-দাবার, আনন্দ আয়োজন আর ফ্যাশন শোর নানা আয়োজন রয়েছে এসব হোটেলে। শিশুদের হাতে উপহার তুলে দিতে হাজির হচ্ছেন সান্তা ক্লজ স্বয়ং নিজে।

আজ সরকারী ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষ্যে সংবাদ-পত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ফিচার। রেডিও-টেলিভিশন প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠান।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শুভ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে  দেশের খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে এ পৃথিবীতে মহামতি যিশু খ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারসহ পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগতিতিক্ষা সহ্য করে খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেণ,যিশু খ্রিস্টের মতে মানুষের পরিত্রাণের উপায় হলো জগতের মাঝে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায়প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থান। পূর্ণ অন্তর, মন ও শক্তি দিয়ে তিনি ঈশ্বর ও সকল মানুষকে ভালোবাসতে বলেছেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশু খ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমাত্মিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। যিশু খ্রিস্টের মর্মবাণী জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্যস্থাপনসহ সমস্যাসংকুল বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় খুবই প্রাসঙ্গিক।

রাষ্ট্রপতি বলেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশের মানুষ ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। বাংলাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীগণ শিক্ষা, মানবতার সেবাসহ সমাজউন্নয়নে যে ভূমিকা রাখছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশগঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী
“খ্রিস্টানসম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর জীবনাচারণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে রয়েছে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণস্বাধীনতা। আমি আশা করি, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।


এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিস্টানসম্প্রদায়সহ জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সকলকে আমি মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আনন্দময় ও উৎসবমুখর বড়দিনে আমি খ্রিস্টানধর্মাবলম্বী জনসাধারণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খ্রিষ্টান গির্জা, কবরস্থান ও বড়দিন উদযাপন অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বড়দিনের অনুষ্ঠানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

অাজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আরবি বছরের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। এ মাসের ১২ তারিখ আল্লাহ্ তায়ালার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যাকে সৃষ্টি না করলে একটি ধূলিকণাও সৃষ্টি করতেন না। সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ, মুক্তির দিশারী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর ধরায় আগমনের দিন।

সব দিনের সেরা দিন মহানবীর (সা.) জন্মদিন। ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এ দিন  শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কেবল জন্মদিনই নয়, ওফাত দিবসও। সঙ্গত কারণেই বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী সব মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


আজ থেকে ১৪’শ ৪৫ বছর আগে অর্থাৎ ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের মূহুর্তে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মা আমিনার গর্ভে মুহম্মদ (সা.) জন্ম গ্রহণ করেন। তার জন্মের আগেই মারা যান তার পিতা আব্দুল্লাহ। জন্মের পর মাত্র ৬ বছরে হারান জন্মদাত্রী মাতাও। মাতা-পিতাহীন মুহম্মদ (সা.) শিশু ও বাল্যকালে চরম কষ্ট সহ্য করে দাদা আব্দুল মুত্তালিবের গৃহে লালিত-পালিত হন । তার এ আশ্রয়ও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর মুহম্মদ (সা.) তার চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন। কুরাইশ বংশ তৎকালীন মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশ হলেও মুহম্মদ (সা.) এর দাদা কিংবা চাচারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না। বাল্যকালে চাচার তত্ত্ববধানে থাকাকালীন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের বকরি-ভেড়া চড়াতেন তিনি। রাখাল থাকা অবস্থাতেই মুহাম্মদ (সা.) এর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তা, বিশ্বস্ততা ও বিভিন্ন গুণ প্রকাশ পেতে থাকে।

হযরত ঈসাকে (আ.) পৃথিবী থেকে তুলে নেওয়ার পর দীর্ঘকাল কোন নবী বা রাসূল না থাকায় দুনিয়াবাসী পাপের অন্ধকারে চরমভাবে নিমজ্জিত হয়। জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয় মানুষ। এক প্রতিকূল পরিবেশে মুহম্মদ (সা.) এর পৃথিবীতে আগমন। এমন চ্যালেঞ্জের যুগেও মুহম্মদ (সা.) উন্নত চরিত্রর জন্য আল-আমিন তথা বিশ্বাসী উপাধিতে ভূষিত হন।

যুবক বয়সে আরবের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী হযরত খাদিজা (রা.) এর ব্যবসা দেখাশুনা করেন। মুহাম্মদ (সা.) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে এবং ব্যবসায়িক কৃতকর্মে খুশি হয়ে হযরত খাদিজা (রা.) মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সময় মুহাম্মদ (সা.) এর বয়স ২৫ বছর এবং খাদিজা (রা.) এর বয়স ছিল ৪০ বছর ।

মুহাম্মদ (সা.) এর বয়স যখন ৪০ বছরের কাছাকাছি তখন নবুওয়াত প্রাপ্তির লক্ষণ তার মধ্যে পরিলক্ষিত হতে শুরু করে। তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং মুক্তির পথ খুঁজতে থাকেন। এ সময় মুহম্মদ (সা.) উঁচু হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান আরম্ভ করেন। অবশেষে আসে সে কাঙ্খিত দিন, আল্লাহতায়ালা অবতীর্ণ করতে শুরু করেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ঠিক চল্লিশ বছর তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি রেসালাতের দায়িত্ব অর্জন করেন।

রেসালাত ও নবুওয়াতের দায়িত্ব প্রাপ্তির পর হযরত মুহম্মদ (সা.) মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহবান করতে শুরু করেন। মহানবীর দাওয়াতে সাড়া না দিয়ে উল্টো মুহম্মদকে (সা.) তার পথ থেকে সরে আসার প্রস্তাব দেয়। শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। এমনকি হত্যা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। আল্লাহ কাফেরদের ষড়যন্ত্রের কথা তার প্রিয় বন্ধুকে অবহিত করে তাকে মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন ।

নবুওয়াত প্রাপ্তির মাত্র ১২ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই একান্ত অনুচর বন্ধুবর হযরত আবুবকরকে (রা.) নিয়ে মক্কা ছেড়ে মদিনা অভিমূখে যাত্রা করেন। পবিত্র মদিনা শরীফকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং তিনি এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর থেকে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে। দলে দলে মানুষ শান্তির স্পর্শ পেতে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করে। ধীরে ধীরে মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে ।

৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে ৮ হিজরিতে আল্লাহর নির্দেশে মুহম্মদ (সা.) দশ সহস্রাধিক সৈন্য নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। যে সব মানুষ মুহম্মদ (সা.) এর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল তাদেরও তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মক্কা বিজয়ের পরে মুহম্মদ (সা.) আবারও মদিনায় ফিরে যান। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে পুনরায় মুহম্মদ (সা.) মদিনায় গমন করেন। মদিনায় হজ্জ কালে সফরের মধ্যেই আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি নাযিল করেন-‘আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণ করে দিলাম, এবং আমার নেয়ামতকে তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে মনোনীত করে দিলাম’।

এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সাহাবীরা অঝোর ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন। তখন রাসূল (সা.) তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কাঁদ কেন ? সাহাবীরা বললেন আমরা বুঝতে পারছি, অচিরেই আল্লাহ আপনাকে তার মেহমান করে নিবেন। কেন না কোন জিনিস পূর্ণতা পাওয়ার পর সেটা কমতে শুরু করে । যেহেতু ইসলাম পূর্ণতা পেয়েছে তাই আপনাকে আর আমাদের মধ্যে রাখা হবে না । হজ্জ পালন শেষে হযরত মুহম্মদ (সা.) তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মদিনায় চলে আসেন ।

অবশেষে আসে দুঃখের দিন, শোকের দিন । শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ তথা ১০ হিজরী সনের ১২ রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার পৃথিবীর মানুষকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি।

বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হবে। বিভিন্ন সংগঠন এই দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং ধর্মীয় শোভাযাত্রা।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আরও বাণী দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি, বিএনপি চেয়ারপারসন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবীর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।

বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’-এ জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা জানাই।’

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে গতকাল বাদ আছর ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ঈদ-ই মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ মাহফিল, সেমিনার, ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ও মহানবী (সা.) জীবন ভিত্তিক পোস্টার ও গ্রন্থ প্রদর্শনী, ইসলামী বই মেলা, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত ও হামদ-নাত মাহফিল এবং রাসূল (সা.) শানে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার বাদ আসর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আহলা দরবার শরীফের সংগঠন তরিকতে মাওলা গ্রুপ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার হোসেনী দালান উত্তর গেট চত্বরে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নীর সেমিনার ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। শিল্পমন্ত্রী আলহাজ আমির হোসেন আমু এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আশেকান মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনও শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গদিনশীন পীর, আওলাদে রাসূল (সা.) শাহজাদায়ে গাউছুল আজম শাহসূফী আলহাজ হযরত মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর আল-হাছানী আল-মাইজভান্ডারী। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিএনপি’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য প্রাক্তন মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আজ বাদ আসর আয়োজন করা হয়েছে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

Thursday, December 24, 2015

মেন্টর হিসেবে ইমরান খানকে পাচ্ছেন তামিম ইকবাল

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মেন্টর হিসেবে ইমরান খানকে পাচ্ছেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। পিএসএলে বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালের দল পেশোয়াড় জালমির মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খানকে।

 
বর্তমানে রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান দীর্ঘ দুই দশক পর আবারো ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। শহিদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলের মেন্টর হিসেবে ফিরছেন তিনি। একই সঙ্গে দলের আইকন খেলোয়াড় হিসেবে ৭৫ হাজার ডলার পাবেন আফ্রিদি।
 
আফ্রিদির নেতৃত্বধীন দলটিতে গুরুত্বপূর্ণ অপর খেলোয়াড়রা হলেন- বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল, পাকিস্তানী উমর গুল, ইমরান খনি জুনিয়র, বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার ওয়াহাব রিয়াজ ও জুনাইদ খান, সাবেক টি-২০ অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিগ হিটিং অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামি।
 
পেশোয়াড় জালমি স্বত্তাধিকারী জাবেদ আফ্রিদি বলেন, ইমরান খানকে নিয়োগ দিতে পেরে তিনি অত্যন্ত সন্তস্ট। দল নিয়েও আশাবাদী এ স্বত্তাধিকারী পিএসএলের প্রথম আসরে ভাল করবে বলে মনে করছেন। জাবেদ আফ্রিদি বলেন, 'পেশোয়াড় জালমির দল নিয়ে আমরা সন্তষ্ট।'
 
পাঁচ দল নিয়ে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে সয়ুক্ত আরব আমিরাতে। আগামী বছর ২৪ ফেব্রুয়ারী দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। 
সূত্র:: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

রংপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা

রংপুরে মশিউর রহমান উৎস (২৮) নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাশে গাছের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। উৎস রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলোর স্টাফ রিপোর্টার। তিনি সদর উপজেলার আলমনগর স্টেশনপাড়ার শামসুল হুদা মণ্ডলের ছেলে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজ শেষে অফিস থেকে বের হন উৎস। রাতে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে তার লাশ দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানান, মশিউর রহমান উৎসের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে

সৌদি অারবের হাসপাতালে অগ্নিকান্ডে ২৫ জন নিহত

সৌদি আরবের জাজান শহরে একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১০৭ জন। বুধবার গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।


সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালে অগুনের সূত্রপাত ঘটে। হাসপাতালের প্রথম তলা আগুনে পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখানে প্রসূতি বিভাগ ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) রয়েছে। অাগুন লাগার পরপরই হাসপাতাল থেকে লোকজনকে বের করে আনা হয়। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অাজ সাফে বাংলাদেশ-অাফগানিস্তান মুখোমুখি

টেকনিক আর দক্ষতায় দুই দলের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে ট্যাকটিক্যালি ও শারীরিক সক্ষমতায় বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানই এগিয়ে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে মারুফুল হকের দলকে। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েই দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ হিসেবে পরিচিত এই টুর্নামেন্টের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করতে আত্মবিশ্বাসী মামুনুলরা—সোহেল-শহিদুলরা।


বৃহস্পতিবার কেরালার ত্রিবান্দ্রাম স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।

সেই ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফের একমাত্র শিরোপাটি জিতেছিল বাংলাদেশ। তারপর আর কখনো ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি বাংলাদেশের। গত তিন আসরে তো বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। তবে অতীত হতাশা মুছে এবার ভালো কিছু করতে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ। 

কোচ ফ্যাবিও লোপেজের বিদায়ের পর মারফুল বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়ে সময় পেয়েছেন মাত্র ২১ দিন। তবে অল্প সময়ে দলকে তৈরি করে সাফ শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জটা বেশ ভালোমতোই নিয়েছেন মারুফুল। সেই চ্যালেঞ্জের প্রথমেই আফগানিস্তান নামের বড় পরীক্ষা।

এখনো ফিটনেস ফিরে পাননি বলে এই ম্যাচে দলে নেই বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। তবে আশা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ম্যাচে জামালকে মাঠে নামানো যাবে। জামালের জায়গায় খেলবেন মোনায়েম রাজু। জামালের শূন্যতা পূরণে রাজুর দিকেই তাকিয়ে আছেন কোচ মারুফুল। রাজুর ওপর আস্থাও রাখছেন কোচ।

এ ছাড়া চোটের কারণে টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন না বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার জাহিদ হোসেন এমিলি। তার জায়গায় শাখাওয়াত হোসেন রনির খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। রনির ওপর তাই গোলের বড় দায়িত্বই বর্তাচ্ছে। আর দায়িত্ব পালনে রনি নিজেকে প্রস্তুত বলেই ঘোষণা করেছেন নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ হেডে জয়সূচক গোল করে। এবার সাফেও তার দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনুপ্রেরণা নিতে পারে অতীত ইতিহাস থেকেও। আফগানদের কাছে যে কখনোই হারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ সাক্ষাতে চার ড্রয়ের বিপরীতে এক জয়। ঢাকায় গত জুনে দুই দলের সবশেষ ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আজকের ফল কী হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।