PaidVerts

Sunday, December 27, 2015

মোদির আকস্মিক পাকিস্তান সফরে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবার আকস্মিক লাহোর সফরকে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল স্বাগত জানিয়ে বলেছে এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাবে। বিরোধী দলের মধ্যে কেবল সিপিআই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাহোর সফরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ সফরকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী কূটনীতির একটি দৃষ্টান্ত।


তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা, হালকা, অনিশ্চিত এবং তা আকস্মিকভাবে ইউ-টার্ন নেয়। কংগ্রেস নেতা মনীষ তিওয়ারি বলেন, কাবুল থেকে লাহোর গমন আফগান বাহিনীকে একটি নেতিবাচক বার্তা দেবে। জবাবে বিজিপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং মোদির মতো দৃঢ়চেতা নেতাই এমন কাজ করতে পারেন। বিজিপির মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সফরকে স্বাগত জানানো উচিত। কেননা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তির জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে।

জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাইয়িদ বলেন, এটি সঠিক দিক একটি পদক্ষেপ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ সফর পাকিস্তানের সঙ্গে মোদির একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ার সংকল্পের ইঙ্গিত দেয়।ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন একটি ভাল পদক্ষেপ। হুররিয়াত কনফারেন্স চেয়ারম্যান মীর ওয়াইজ ওমর ফারুক এটিকে একটি ভালো পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।

সিপিআই এ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি ভারত-পাকিস্তান সংলাপ এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। দলের জাতীয় সম্পাদক ডি রাজা বলেন, সংলাপই হচ্ছে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক উন্নয়নের একমাত্র বিকল্প। বিজিপির মিত্র শিব সেনার এমপি সঞ্জয় রাউত বলেন, এ সফর ইতিবাচক ফল বয়ে আনলে তারা এটিকে স্বাগত জানাবেন। জেডি (ইউ) নেতা কেসি তিয়াগি এ সফরে বিস্মিত হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতা একই সঙ্গে চলতে পারে না। অল ইন্ডিয়া রেডিও’র এক খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে উন্নত সম্পর্ক পুরো-অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও দু’নেতার লাহোর বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেছেন যে দ্বিপক্ষীয় সংলাপ বজায় থাকবে এবং জোরদার হবে।

No comments:

Post a Comment