PaidVerts

Sunday, December 27, 2015

মোদির আকস্মিক পাকিস্তান সফরে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবার আকস্মিক লাহোর সফরকে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল স্বাগত জানিয়ে বলেছে এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাবে। বিরোধী দলের মধ্যে কেবল সিপিআই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাহোর সফরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ সফরকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী কূটনীতির একটি দৃষ্টান্ত।


তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা, হালকা, অনিশ্চিত এবং তা আকস্মিকভাবে ইউ-টার্ন নেয়। কংগ্রেস নেতা মনীষ তিওয়ারি বলেন, কাবুল থেকে লাহোর গমন আফগান বাহিনীকে একটি নেতিবাচক বার্তা দেবে। জবাবে বিজিপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং মোদির মতো দৃঢ়চেতা নেতাই এমন কাজ করতে পারেন। বিজিপির মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সফরকে স্বাগত জানানো উচিত। কেননা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তির জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে।

জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাইয়িদ বলেন, এটি সঠিক দিক একটি পদক্ষেপ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ সফর পাকিস্তানের সঙ্গে মোদির একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ার সংকল্পের ইঙ্গিত দেয়।ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন একটি ভাল পদক্ষেপ। হুররিয়াত কনফারেন্স চেয়ারম্যান মীর ওয়াইজ ওমর ফারুক এটিকে একটি ভালো পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।

সিপিআই এ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি ভারত-পাকিস্তান সংলাপ এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। দলের জাতীয় সম্পাদক ডি রাজা বলেন, সংলাপই হচ্ছে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক উন্নয়নের একমাত্র বিকল্প। বিজিপির মিত্র শিব সেনার এমপি সঞ্জয় রাউত বলেন, এ সফর ইতিবাচক ফল বয়ে আনলে তারা এটিকে স্বাগত জানাবেন। জেডি (ইউ) নেতা কেসি তিয়াগি এ সফরে বিস্মিত হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতা একই সঙ্গে চলতে পারে না। অল ইন্ডিয়া রেডিও’র এক খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে উন্নত সম্পর্ক পুরো-অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও দু’নেতার লাহোর বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেছেন যে দ্বিপক্ষীয় সংলাপ বজায় থাকবে এবং জোরদার হবে।

অাগামী ২০ জানুয়ারি ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার


আগামী ২০-২৫ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মার্কেট এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘৭ম ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৬’ শীর্ষক তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের মেলা। 

কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এবারের মেলায় সাড়ে ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তির কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। বাড়তি আয়োজনের পাশাপাশি থাকবে বিশেষ ছাড় ও উপহারের ছড়াছড়ি।


মেলা উপলক্ষে কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেলার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, প্রতিবারের চেয়ে এবার আরও বড় পরিসরে ও জাঁকজমকভাবে মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারণ প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা জোন, সায়েন্স ফেয়ার, রোবটিক্স ফেয়ার ও রক্তদান কর্মসূচি। বিনোদনের জন্য থাকছে গেইমিং জোন, মুভি জোন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সেলফি প্রতিযোগিতা, শীতকালীন পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্টানসহ নানা আয়োজন। মেলা চলাকালীন সময়ে প্রবেশ টিকেটের উপর র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। অভাবনীয় মূল্যছাড় ও উপহারতো থাকছেই।

তিনি আরও বলেন, এবারের মেলাকে কেন্দ্র করে আইটি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ মেলায় বাংলাদেশের শীর্ষ আইসিটি পণ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বিশ্বের মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করবেন। চলতি বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরু হওয়ায় সারা বিশ্বে বছরের সর্বশেষ টেকনোলজিগুলো মিলবে এখানে।’ 

মেলায় স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটার, ডিজিটাল ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, এলসিডি মনিটর, টিভিকার্ড, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ডসহ নানা প্রযুক্তিপণ্য। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও ৩য় থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত ৯৬ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কম্পিউটার সিটি সেন্টার সাজবে উৎসব আমেজে।

অাজ সালমানের ৫০তম জন্মদিন


আজ বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ৫০তম জন্মদিন। এ দিনেই হয়তো বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন সালমান। জীবনসঙ্গী কে হবে তার জন্য আজ পর্যন্ত ভক্তদের অপেক্ষা করতেই হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সেই সৌভাগ্যবান নারী হচ্ছেন রোমানিয়ান টিভি তারকা ও তার গার্লফ্রেন্ড লুলিয়া ভেঞ্চুর। এদিকে, উচ্চ আদালতের রায়ে সালমানের মুক্তি মিললেও হিট অ্যান্ড রান মামলা এবার উঠছে সুপ্রিম কোর্টে। এর আগেই সালমান বলেছিলেন, শিগগির কিছু একটা ঘটতে চলেছে আমার জীবনে। সালমানের সঙ্গে তার গার্লফ্রেন্ড লুলিয়া ভেঞ্চুরের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই চলছিল বলিউডে। 
তাহলে কি সত্যিই এবার লুলিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবেন সালমান? বলিউডের একটি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, হয়তো ৫০তম জন্মদিনেই পরিবার এবং তার ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে লুলিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের জীবনের বিশেষ নারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন সালমান। এদিকে, হিট অ্যান্ড রান মামলাটি এবার উঠছে সুপ্রিম কোর্টে। সালমানের মুক্তির রায়ের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে যাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশ পাচ্ছে তার প্রথম আত্মজীবনী। বইটি লিখেছেন জসিম খান নামের দিল্লির একজন সাংবাদিক। বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া। সালমানের আত্মজীবনীমূলক এ বইয়ের নাম বিইং সালমান। বইটিতে থাকবে তার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক অনেক অজানা তথ্য। ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ভারতের মধ্য প্রদেশের ইনদোরে জন্ম হয় সালমান খানের। তার বাবা বলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার সেলিম খান এবং মা সালমা খান। সালমানের প্রকৃত নাম আব্দুল রশিদ সেলিম সালমান খান। পরে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সালমান খান। নিজেকে হিন্দু এবং মুসলমান দুই ধর্মের মানুষ বলে পরিচয় দেন এ অভিনেতা। সালমানের সৎ মা অভিনেত্রী হেলেন। তার ভাই আরবাজ খান, সোহেল খান এবং বোন আলভিরা খান। এ ছাড়া আছেন পালক বোন অর্পিতা খান।   ১৯৮৯ সালে সুরাজ বারজাতিয়া পরিচালিত ম্যায়নে পেয়ার কিয়া সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় সালমান খানের। এরপর ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার পরবর্তী সিনেমা বাঘি : অ্যা রেবেল ফর লাভ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সালমানকে। সাজন, হাম আপকে হ্যায় কৌন, করণ অর্জুন, জড়ুয়া, হাম দিল দে চুকে সানাম, হাম সাথ সাথ হ্যায়, তেরে নাম, দাবাং, এক থা টাইগার, ওয়ান্টেড, কিক, বজরঙ্গি ভাইজানসহ বেশকিছু জনপ্রিয় সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়ে ভক্তদের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডের সুপারস্টার হিসেবে।

নিশো এবার একুশে টিভির অনুষ্ঠান প্রধান


একজন সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ফারহানা নিশো। পাশাপাশি চ্যানেল ওয়ান ও বৈশাখী টিভির করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তবে এবার নতুনরূপে আসছেন নিশো। তবে পর্দায় নয়, একজন অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবেই দেখা যাবে তাকে। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির অনুষ্ঠানপ্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন জনপ্রিয় এ 

সংবাদ উপস্থাপক। এ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে নিশো বলেন, অনুষ্ঠানপ্রধান হিসেবে একুশে টিভিতে যোগ দিয়েছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। চ্যানেলটির অনুষ্ঠানের মান আরও সমৃদ্ধ করা ও সেই সঙ্গে আকর্ষণীয় করে তোলার অঙ্গীকার নিয়েই কাজ শুরু করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। পাশাপাশি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ফারহানা নিশো এর আগে যমুনা টিভিতে সিনিয়র সংবাদ উপস্থাপনার পাশাপাশি গাজী টিভিতে ‘আজকের অনন্যা’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন। ২০০৩ সালে এনটিভিতে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হলেও তিনি গ্রামীণফোনের টেকনিক্যাল ডিভিশন ও ওয়ারিদ টেলিকমে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগেও কাজ করেন।

চার বছর নিষিদ্ধ হচ্ছেন পেরেরা!

গত অক্টোবরে ডোপ টেস্টে শ্রীলংকার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরার শরীরে নিষিদ্ধ ড্রাগের অস্তিত্ব খুঁজে পায় আইসিসি। এ কারণে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলে নিউজিল্যান্ড থেকেই পেরেরাকে দেশে পাঠায় শ্রীলংকা দল। শুক্রবার শ্রীলংকার ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকারা জানান, পেরেরার দ্বিতীয় রক্ত নমুনায়ও নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়া গেছে বলে রিপোর্ট করেছে আইসিসি। 

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির ডোপিং বিরোধী আইন অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার এ ধরনের কাজে নিজেকে সংযুক্ত করলে সর্বোচ্চ চার বছর নিষিদ্ধ হবেন।
প্রথমবার সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার পর লংকান বোর্ড জানিয়েছিল, যত দ্রুত সম্ভব সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে পেরেরাকে ফেরানো হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। জয়াসেকারাও একই সুরে বলেছিলেন, ‘আমরা এর বিপক্ষে আপিল করব। এর আগের চারটি ঘটনায় তার ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি।’
পেরেরার শাস্তির ব্যাপারে আইসিসি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রায় দেয়নি। এ ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। ক্রিকইনফো


বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে মালদ্বীপ

 নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার মালদ্বীপের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কেরালার ত্রিবান্দ্রাম স্টেডিয়ামে এদিনও জয়ের দেখা পায়নি মামুনুলরা। তারা ৩-১ গোলে হেরেছে মালদ্বীপের কাছে। এই হারে সাফের চলতি আসর থেকে বাংলাদেশের বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে টানা দুই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপ।

অবশ্য এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রণান্তকর চেষ্টা করতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের ১১ মিনিটে সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু জাহিদের নেওয়া শট পোস্টের অল্প বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২৬ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে। ওয়ালি ফয়সাল মালদ্বীপের রক্ষণকে পাশ কাটিয়ে বল দেন জাহিদকে। জাহিদ হেডও নিয়েছিলেন, কিন্তু তা বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। ২৮ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নস্ট করেন হেমন্ত। জামাল ভূঁইয়ার ক্রস থেকে গোল মুখে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু কার্যকর শট নিতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের ৪০ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশ প্রভাব বিস্তার করে খেলে। কিন্তু ৪১ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে হাত প্রসারিত করে বল ফেরাতে গিয়ে হ্যান্ডবল করেন ওয়ালি ফয়সাল। রেফারি মালদ্বীপকে পেনাল্টি উপহার দেন আর হলুদ কার্ড দিয়ে ফয়সালকে তিরস্কার করেন। পেনাল্টি থেকে মালদ্বীপের সেরা খেলোয়াড় আলী আশফাক গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।

বিরতির পরও বাংলাদেশ তাদের আক্রমণ অব্যহত রাখে। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে। কিন্তু পরের মিনিটেই গোল করে মালদ্বীপকে এগিয়ে নিয়ে যান নাইজ হাসান। আর অন্তিম মুহূর্তে গোল করে ৩-১ ব্যবধানে মালদ্বীপের জয় নিশ্চিত করেন আহমেদ নাশিদ।

এই জয়ের ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপ। অন্যদিকে টানা দুই হারে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত। প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-১ গোলে হারায় মালদ্বীপ। আর বাংলাদেশ ৪-০ গোলে হার মানে আফগানিস্তানের কাছে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও মালদ্বীপ ৩-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশের বিপক্ষে। আর সবার আগে ‘বি’ গ্রুপ থেকে শেষ চারে উঠল দ্বীপ রাষ্ট্রটি।

বাংলাদেশের একাদশ: মো. শহিদুল (গোলরক্ষক), জামাল ভুঁইয়া, ইয়াসিন খান, জাহিদ হোসেন, মামুনুল ইসলাম (অধিনায়ক), হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, রায়হান হাসান, মোনায়েম খান রাজু, তপু বর্মন, শাখাওয়াত রনি ও ওয়ালি ফয়সাল।

মালদ্বীপের একাদশ: মোহাম্মদ ইমরান (গোলরক্ষক), আব্দুল্লাহ আহমদ, ইমাজ, আলী আশফাক (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হামজা, আব্দুল্লা আসাদুল্লাহ, আলী আসাদ, ফাসির আলী, আলী আমধান, মোহামেদ ও আহমেদ শাফিউ।



নির্বাচনের শেষ মুহূর্তেও সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি

পৌরসভা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েনে দাবি জানাল বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিরাজগঞ্জে এক সভায় এ দাবি জানান। 


শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ শহরে প্রধান সড়কে হেঁটে গণসংযোগ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসভবনে  উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে একথা বলেন মির্জা ফখরুল। 



এ সময় তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের নির্বাচনী গণসংযোগকালে ধানের শীষের অভূতপুর্ব সাড়া পেয়েছি। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ধানের শীষের বিজয় হবেই হবে। সরকার হাজারো নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।’ সুষ্ঠ নির্বাচন না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ ‘বিষয়ে নির্বাচনের পরে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে মির্জা ফখরুল শহরের কাঠেরপুলে এবং এস. এস. রোডের জামান কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু করে চামড়াপট্টি মোড় পর্যন্ত হেঁটে গণসংযোগ করেন। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেয়র প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান দুলাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুর কায়েম সবুজু, .. রকিবুল হাসান রতন, শহর বিএনপির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সাধারণ সম্পাদক মুন্সী আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন খানসহ বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল-কৃষকদল-শ্রমিকদলসহ হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বিকেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডে মেয়র প্রার্থী নুর সাঈদ সরকারের পক্ষে গাড়ি থেকেই উপস্থিত নেতা-কর্মী জনগণের কাছে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান ও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।



প্রতি উপজেলায় কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে

প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একশ’ টিরও বেশি অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এক সময় কারিগরি শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা লজ্জাবোধ করলেও এখন তারা গর্ববোধ করে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৫’র চূড়ান্ত  প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা উৎসাহী ছিল না, কিছু না পারলে বলতো এখানে (কারিগরি) পাঠিয়ে দাও, তারা লজ্জা পেত, এখন বুক ফুলিয়ে বলে আমি কারিগরির ছাত্র। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কারিগরিতে মাত্র ১ শতাংশ শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিকসহ বেসরকারি পলিটেকনিক, ভোকেশনাল মিলে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশের ওপরে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এসব শিক্ষার্থী ‘ভিশন-২০২১’র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠলে তারা সম্পদ হিসেবে পরিণত হবে। দেশের পোশাক শিল্পে ১৯ হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করছে। কারগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা এই জায়গা দখল করতে পারে। ইতোমধ্যে সাত হাজার পদ দখল করে নিয়েছে। সবটুকুই দখল করতে হবে।
আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন,কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অমোখ কুমার বিশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, স্কিল অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. ইমরান প্রমুখ। এর আগে শাহবাগ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।



Friday, December 25, 2015

ঠাকুরগাওয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ

কাপ্তানিয়ান ফাঊন্ডেশনের তত্বাবধানে ঠাকুরগাওয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ


ওয়ানডেতে সেরা দশ বোলিং স্পেলে মুস্তাফিজ-রুবেল

২০১৫ সালের সেরা দশ বোলিং স্পেলের তালিকা করেছেন ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। তালিকায় বিশ্বসেরা বোলারদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানও জায়গা পেয়েছেন। রুবেল হোসেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বোলিংয়ের জন্যে চতুর্থ স্থানে ও মুস্তাফিজুর রহমান ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভালো বোলিংয়ের জন্যে মনোনিত হয়েছেন। তবে ভারতের কোনো বোলারকে সেরা দশের তালিকায় জায়গা দেয়নি টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সেরা দশ স্পেলের বোলাররা হলেন
১. টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড) :  বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র নয় ওভারে ৩৩ রানের খরচে সাত উইকেট নেন টিম সাউদি। তার স্পেলটি ছিল এরকম: ৯-০-৩৩-৭।

২. ট্রেন্ট বোল্ট(নিউজিল্যান্ড):  বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২৭ রানের খরচে পাঁচ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। তার স্পেলটি ছিল এরকম: ১০-১-২৭-৫

৩. মিচেল স্ট্রার্ক (অস্ট্রেলিয়া): ট্রেন্ট বোল্টের পর একই ম্যাচে ঝড় তুলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। মাত্র ২৮ রানে ছয় উইকেট নেন স্টার্ক। তার বোলিং স্পেল ছিল ৯-০-২৮-৬।

৪. রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ): ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে ৫৩ রানে চার উইকেট নেন রুবেল। ম্যাচের শেষ দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের অঘোষিত নায়কে পরিণত হন রুবেল। তার বোলিং স্পেল ছিল এরকম: ৯.৩-০-৫৩-৪।

৫. ইমরান তাহির(দক্ষিণ আফ্রিকা) : বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে দূত্যি ছড়ান ইমরান তাহির। তার স্পিন ঘূর্ণিতে লঙ্কানরা ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায়। লেগ স্পিনার ২৬ রানে নেন চার উইকেট। তার বোলিং স্পেল ছিল এরকম: ৮.২-২-২৬-৪।

৬. মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ): ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে নিজের জাত চিনিয়ে দেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নেন ছয় উইকেট। তার বোলিং তোপে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় ভারতকে। মুস্তাফিজ ৪৩ রানে নেন ছয় উইকেট। তার স্পেল ছিল এরকম: ১০-০৪৩-৬।

সেরা বোলিং স্পেলের তালিকায় শেষ চার বোলাররা হচ্ছেন ক্যাসিগো রাবাদা (৬/১৬), মিচেল ম্যাকক্লগান, নিউজিল্যান্ড( ৪/৩৬),  মরনে মরকেল (৪/৩৯) ও মিচেল মার্শ (৫/৩৩)।

অাজ শুভ বড়দিন

আজ ২৫ ডিসেম্বর। বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হচ্ছে বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে হিসেবে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উদযাপনে দিনটি পালন করছেন।

বড়দিন পালনের মূল উদ্দেশ্য যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উদযাপন। বড়দিন উদযাপনে গির্জাগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার। প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মানবমুক্তির উদ্দেশে যিশুর পৃথিবীতে আগমনের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বড়দিনের প্রার্থনার প্রধান অঙ্গ। মূলত সৃষ্টিকর্তার স্তবস্তুতি এতে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এ ছাড়া যেরুজালেমের বেথলেহেম নগরের গোয়ালঘরে যিশুর জন্মের কাহিনী পাঠ এবং এর ওপর বিশেষ আলোচনা হয়ে থাকে।


বড়দিন উপলক্ষে ঢাকার গির্জা ও বড় বড় হোটেল সেজেছে নতুন সাজে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই দেশের বড় গির্জাগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা। এছাড়া বড়দিনের সকালে ছোট-বড় সব গির্জায় আবারও বিশেষ উপাসনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন পোশাক পড়ে, সেজেগুজে সব বয়সের খ্রিষ্টানরা এতে অংশ নিচ্ছেন। সারা দিন ধরে গির্জাগুলোতে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। অধিকাংশ গির্জায়ই এরপর অনুষ্ঠিত হবে প্রীতিভোজ। সবাই একসঙ্গে খাওয়ার মাধ্যমে খ্রিষ্টীয় সহভাগিতা ছড়িয়ে দেবেন।

রাজধানীর রমনা সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল, তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা, গ্রিনরোডে ইম্মানুয়েল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চসহ রাজধানীর বিভিন্ন চার্চে বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বড়দিন উপলক্ষ্যে ঢাকার পাঁচতারকা মানের হোটেলগুলো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দিন কয়েক আগে থেকেই। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, রূপসী বাংলা হোটেল, র্যা ডিসন ওয়াটার গার্ডেন, দ্য ওয়েস্টিন হোটেলসহ আরও কয়েকটি হোটেল সাজানো হয়েছে নবসাজে। হোটেলগুলোতে আনা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ক্রিসমাস ট্রি। আলোয় আলোয় সেজে উঠেছে হোটেলগুলো। ক্রিসমাস ট্রিতেও রয়েছে এই আলোর বিন্যাস। খাবার-দাবার, আনন্দ আয়োজন আর ফ্যাশন শোর নানা আয়োজন রয়েছে এসব হোটেলে। শিশুদের হাতে উপহার তুলে দিতে হাজির হচ্ছেন সান্তা ক্লজ স্বয়ং নিজে।

আজ সরকারী ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষ্যে সংবাদ-পত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ফিচার। রেডিও-টেলিভিশন প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠান।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শুভ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে  দেশের খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে এ পৃথিবীতে মহামতি যিশু খ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারসহ পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগতিতিক্ষা সহ্য করে খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেণ,যিশু খ্রিস্টের মতে মানুষের পরিত্রাণের উপায় হলো জগতের মাঝে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায়প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থান। পূর্ণ অন্তর, মন ও শক্তি দিয়ে তিনি ঈশ্বর ও সকল মানুষকে ভালোবাসতে বলেছেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশু খ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমাত্মিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। যিশু খ্রিস্টের মর্মবাণী জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্যস্থাপনসহ সমস্যাসংকুল বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় খুবই প্রাসঙ্গিক।

রাষ্ট্রপতি বলেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশের মানুষ ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। বাংলাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীগণ শিক্ষা, মানবতার সেবাসহ সমাজউন্নয়নে যে ভূমিকা রাখছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশগঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী
“খ্রিস্টানসম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর জীবনাচারণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে রয়েছে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণস্বাধীনতা। আমি আশা করি, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।


এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিস্টানসম্প্রদায়সহ জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সকলকে আমি মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আনন্দময় ও উৎসবমুখর বড়দিনে আমি খ্রিস্টানধর্মাবলম্বী জনসাধারণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খ্রিষ্টান গির্জা, কবরস্থান ও বড়দিন উদযাপন অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বড়দিনের অনুষ্ঠানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

অাজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আরবি বছরের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। এ মাসের ১২ তারিখ আল্লাহ্ তায়ালার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যাকে সৃষ্টি না করলে একটি ধূলিকণাও সৃষ্টি করতেন না। সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ, মুক্তির দিশারী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর ধরায় আগমনের দিন।

সব দিনের সেরা দিন মহানবীর (সা.) জন্মদিন। ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এ দিন  শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কেবল জন্মদিনই নয়, ওফাত দিবসও। সঙ্গত কারণেই বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী সব মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


আজ থেকে ১৪’শ ৪৫ বছর আগে অর্থাৎ ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের মূহুর্তে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মা আমিনার গর্ভে মুহম্মদ (সা.) জন্ম গ্রহণ করেন। তার জন্মের আগেই মারা যান তার পিতা আব্দুল্লাহ। জন্মের পর মাত্র ৬ বছরে হারান জন্মদাত্রী মাতাও। মাতা-পিতাহীন মুহম্মদ (সা.) শিশু ও বাল্যকালে চরম কষ্ট সহ্য করে দাদা আব্দুল মুত্তালিবের গৃহে লালিত-পালিত হন । তার এ আশ্রয়ও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর মুহম্মদ (সা.) তার চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন। কুরাইশ বংশ তৎকালীন মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশ হলেও মুহম্মদ (সা.) এর দাদা কিংবা চাচারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না। বাল্যকালে চাচার তত্ত্ববধানে থাকাকালীন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের বকরি-ভেড়া চড়াতেন তিনি। রাখাল থাকা অবস্থাতেই মুহাম্মদ (সা.) এর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তা, বিশ্বস্ততা ও বিভিন্ন গুণ প্রকাশ পেতে থাকে।

হযরত ঈসাকে (আ.) পৃথিবী থেকে তুলে নেওয়ার পর দীর্ঘকাল কোন নবী বা রাসূল না থাকায় দুনিয়াবাসী পাপের অন্ধকারে চরমভাবে নিমজ্জিত হয়। জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয় মানুষ। এক প্রতিকূল পরিবেশে মুহম্মদ (সা.) এর পৃথিবীতে আগমন। এমন চ্যালেঞ্জের যুগেও মুহম্মদ (সা.) উন্নত চরিত্রর জন্য আল-আমিন তথা বিশ্বাসী উপাধিতে ভূষিত হন।

যুবক বয়সে আরবের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী হযরত খাদিজা (রা.) এর ব্যবসা দেখাশুনা করেন। মুহাম্মদ (সা.) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে এবং ব্যবসায়িক কৃতকর্মে খুশি হয়ে হযরত খাদিজা (রা.) মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সময় মুহাম্মদ (সা.) এর বয়স ২৫ বছর এবং খাদিজা (রা.) এর বয়স ছিল ৪০ বছর ।

মুহাম্মদ (সা.) এর বয়স যখন ৪০ বছরের কাছাকাছি তখন নবুওয়াত প্রাপ্তির লক্ষণ তার মধ্যে পরিলক্ষিত হতে শুরু করে। তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং মুক্তির পথ খুঁজতে থাকেন। এ সময় মুহম্মদ (সা.) উঁচু হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান আরম্ভ করেন। অবশেষে আসে সে কাঙ্খিত দিন, আল্লাহতায়ালা অবতীর্ণ করতে শুরু করেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ঠিক চল্লিশ বছর তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি রেসালাতের দায়িত্ব অর্জন করেন।

রেসালাত ও নবুওয়াতের দায়িত্ব প্রাপ্তির পর হযরত মুহম্মদ (সা.) মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহবান করতে শুরু করেন। মহানবীর দাওয়াতে সাড়া না দিয়ে উল্টো মুহম্মদকে (সা.) তার পথ থেকে সরে আসার প্রস্তাব দেয়। শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। এমনকি হত্যা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। আল্লাহ কাফেরদের ষড়যন্ত্রের কথা তার প্রিয় বন্ধুকে অবহিত করে তাকে মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন ।

নবুওয়াত প্রাপ্তির মাত্র ১২ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই একান্ত অনুচর বন্ধুবর হযরত আবুবকরকে (রা.) নিয়ে মক্কা ছেড়ে মদিনা অভিমূখে যাত্রা করেন। পবিত্র মদিনা শরীফকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং তিনি এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর থেকে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে। দলে দলে মানুষ শান্তির স্পর্শ পেতে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করে। ধীরে ধীরে মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে ।

৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে ৮ হিজরিতে আল্লাহর নির্দেশে মুহম্মদ (সা.) দশ সহস্রাধিক সৈন্য নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। যে সব মানুষ মুহম্মদ (সা.) এর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল তাদেরও তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মক্কা বিজয়ের পরে মুহম্মদ (সা.) আবারও মদিনায় ফিরে যান। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে পুনরায় মুহম্মদ (সা.) মদিনায় গমন করেন। মদিনায় হজ্জ কালে সফরের মধ্যেই আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি নাযিল করেন-‘আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণ করে দিলাম, এবং আমার নেয়ামতকে তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে মনোনীত করে দিলাম’।

এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সাহাবীরা অঝোর ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন। তখন রাসূল (সা.) তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কাঁদ কেন ? সাহাবীরা বললেন আমরা বুঝতে পারছি, অচিরেই আল্লাহ আপনাকে তার মেহমান করে নিবেন। কেন না কোন জিনিস পূর্ণতা পাওয়ার পর সেটা কমতে শুরু করে । যেহেতু ইসলাম পূর্ণতা পেয়েছে তাই আপনাকে আর আমাদের মধ্যে রাখা হবে না । হজ্জ পালন শেষে হযরত মুহম্মদ (সা.) তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মদিনায় চলে আসেন ।

অবশেষে আসে দুঃখের দিন, শোকের দিন । শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ তথা ১০ হিজরী সনের ১২ রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার পৃথিবীর মানুষকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি।

বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হবে। বিভিন্ন সংগঠন এই দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং ধর্মীয় শোভাযাত্রা।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আরও বাণী দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি, বিএনপি চেয়ারপারসন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবীর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।

বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’-এ জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা জানাই।’

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে গতকাল বাদ আছর ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ঈদ-ই মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ মাহফিল, সেমিনার, ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ও মহানবী (সা.) জীবন ভিত্তিক পোস্টার ও গ্রন্থ প্রদর্শনী, ইসলামী বই মেলা, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত ও হামদ-নাত মাহফিল এবং রাসূল (সা.) শানে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার বাদ আসর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আহলা দরবার শরীফের সংগঠন তরিকতে মাওলা গ্রুপ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার হোসেনী দালান উত্তর গেট চত্বরে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নীর সেমিনার ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। শিল্পমন্ত্রী আলহাজ আমির হোসেন আমু এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আশেকান মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনও শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গদিনশীন পীর, আওলাদে রাসূল (সা.) শাহজাদায়ে গাউছুল আজম শাহসূফী আলহাজ হযরত মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর আল-হাছানী আল-মাইজভান্ডারী। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিএনপি’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য প্রাক্তন মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আজ বাদ আসর আয়োজন করা হয়েছে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।