নিজেদের
দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার
মালদ্বীপের মুখোমুখি হয়
বাংলাদেশ। কেরালার ত্রিবান্দ্রাম
স্টেডিয়ামে এদিনও জয়ের দেখা
পায়নি মামুনুলরা। তারা ৩-১
গোলে হেরেছে মালদ্বীপের কাছে।
এই হারে সাফের চলতি আসর থেকে
বাংলাদেশের বিদায় এক প্রকার
নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে
টানা দুই জয়ে সেমিফাইনাল
নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপ।
অবশ্য
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই
প্রণান্তকর চেষ্টা করতে থাকে
বাংলাদেশ। ম্যাচের ১১ মিনিটে
সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার।
কিন্তু জাহিদের নেওয়া শট
পোস্টের অল্প বাইরে দিয়ে চলে
যায়। ২৬ মিনিটে আরেকটি সুযোগ
আসে। ওয়ালি ফয়সাল মালদ্বীপের
রক্ষণকে পাশ কাটিয়ে বল দেন
জাহিদকে। জাহিদ হেডও নিয়েছিলেন,
কিন্তু
তা বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে।
২৮ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ
নস্ট করেন হেমন্ত। জামাল
ভূঁইয়ার ক্রস থেকে গোল মুখে
ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু
কার্যকর শট নিতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের
৪০ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ
বেশ প্রভাব বিস্তার করে খেলে।
কিন্তু ৪১ মিনিটে ডি বক্সের
মধ্যে হাত প্রসারিত করে বল
ফেরাতে গিয়ে হ্যান্ডবল করেন
ওয়ালি ফয়সাল। রেফারি মালদ্বীপকে
পেনাল্টি উপহার দেন আর হলুদ
কার্ড দিয়ে ফয়সালকে তিরস্কার
করেন। পেনাল্টি থেকে মালদ্বীপের
সেরা খেলোয়াড় আলী আশফাক গোল
করে এগিয়ে নেন দলকে। ১-০
গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে
যায় তারা।
বিরতির
পরও বাংলাদেশ তাদের আক্রমণ
অব্যহত রাখে। কিন্তু গোলের
দেখা পাচ্ছিল না। ম্যাচের ৮৬
মিনিটে হেমন্ত ভিনসেন্ট
বিশ্বাসের গোলে ম্যাচে সমতায়
ফেরে। কিন্তু পরের মিনিটেই
গোল করে মালদ্বীপকে এগিয়ে
নিয়ে যান নাইজ হাসান। আর অন্তিম
মুহূর্তে গোল করে ৩-১
ব্যবধানে মালদ্বীপের জয়
নিশ্চিত করেন আহমেদ নাশিদ।
এই
জয়ের ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে
সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে
মালদ্বীপ। অন্যদিকে টানা দুই
হারে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত।
প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-১
গোলে হারায় মালদ্বীপ। আর
বাংলাদেশ ৪-০
গোলে হার মানে আফগানিস্তানের
কাছে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও
মালদ্বীপ ৩-১
ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশের
বিপক্ষে। আর সবার আগে ‘বি’
গ্রুপ থেকে শেষ চারে উঠল দ্বীপ
রাষ্ট্রটি।
বাংলাদেশের
একাদশ:
মো.
শহিদুল
(গোলরক্ষক),
জামাল
ভুঁইয়া,
ইয়াসিন
খান,
জাহিদ
হোসেন,
মামুনুল
ইসলাম (অধিনায়ক),
হেমন্ত
ভিনসেন্ট বিশ্বাস,
রায়হান
হাসান,
মোনায়েম
খান রাজু,
তপু
বর্মন,
শাখাওয়াত
রনি ও ওয়ালি ফয়সাল।
মালদ্বীপের
একাদশ:
মোহাম্মদ
ইমরান (গোলরক্ষক),
আব্দুল্লাহ
আহমদ,
ইমাজ,
আলী
আশফাক (অধিনায়ক),
মোহাম্মদ
হামজা,
আব্দুল্লা
আসাদুল্লাহ,
আলী
আসাদ,
ফাসির
আলী,
আলী
আমধান,
মোহামেদ
ও আহমেদ শাফিউ।
No comments:
Post a Comment