আইপিএলের মাঠের খেলার পাশাপাশি দর্শকদের আগ্রহের চোখ থাকে
ধারাভাষ্যেও। কিন্তু প্রথম থেকে আইপিএলের পরিচিত মুখ হার্শা ভোগলেকে দেখা যাচ্ছে
না। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই পরিচিত হাসিমুখের অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্ন তুলে
দিয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ব্যাখ্যা জানা না গেলেও
ভারতীয় মিডিয়ার গুঞ্জন, ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রশংসা করা, এ নিয়ে
পরে অমিতাভ বচ্চনের টুইট...এ কারণেই হয়তো ভোগলে নেই।
এটিই আসল কারণ কি না, বলা কঠিন। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনার কথা যদি উল্লেখ করতে
হয়, ভারতীয় এক ক্রিকেট সংগঠকের
সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এটিও তাঁর চাকরি হারানোর কারণ হয়ে থাকতে
পারে।
আইপিএলের প্রথম আসর ২০০৮ থেকেই ভাষ্যকার হিসেবে ভোগলের সম্পর্কটা প্রায়
অবিচ্ছেদ্য ছিল। এবারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচে প্রখ্যাত এই ভারতীয় ধারাভাষ্যকারকে
দেখতে না পেয়ে অনেকেই অবাক। প্রথম ম্যাচে ভোগলেকে দেখতে না পাওয়ার পর অনেকেই
জানতে চান কী কারণে তিনি নেই। পরে ভোগলে টুইট করেন জানান, এবার ধারাভাষ্য দেবেন
না। ভারতীয় মিডিয়াও নিশ্চিত করেছে, ভোগলের চাকরি নেই।
সেখানকার বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও ভারতের সেই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিই সম্ভবত
ভোগলের চাকরি হারানোর কারণ! বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পরপরই অমিতাভ বচ্চনের একটি টুইট
দিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। বলিউডের এই কিংবদন্তি অভিনেতা সেদিন কারও নাম উল্লেখ না
করে একটি টুইট করেছিলেন, ভারতীয় ধারাভাষ্যকাররা ভারতীয় ক্রিকেটারদের বদলে অন্য
দেশের প্রশংসাই করেন। অমিতাভের এই টুইটকে সমর্থন করে সেদিন ভারতীয় অধিনায়ক
মহেন্দ্র সিং ধোনিও রিটুইট করেছিলেন।
অমিতাভ কারও নাম উল্লেখ না করলেও ভোগলে নিজে থেকে অমিতাভকে ‘মেনশন’ করে টুইট করে বলেন, স্টার স্পোর্টসের হিন্দি ভাষার চ্যানেলটিতে
ভারতের পক্ষে দেদার বলার সুযোগ থাকলেও ইংরেজি আন্তর্জাতিক চ্যানেলে ভাষ্যকারদের
নিরপেক্ষই থাকতে হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন বেশ আলোচনাও হয়েছিল।
আসল কারণ কি ভোগলের বাংলাদেশ-বন্দনা? কিছু ভারতীয় মিডিয়া এ কারণটিতেই জোর
দেওয়ার পাশাপাশি আরেকটি সম্ভাবনার কথাও বলছে। স্থানীয় এক ক্রিকেট সংগঠকের সঙ্গে
ভোগলের বাদানুবাদও পেছনের কারণ হতে পারে।
ভোগলে নিজেও আসল কারণটি খোলাসা করেননি। কারণ কেউ তাঁকে নাকি কিছু বলেওনি এ
ব্যাপারে। তিনি বলেছেন, ‘আইপিএল নিয়ে
কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। আমি কেন আইপিএলে নেই, সে কারণটাও আমি সঠিক জানি না।’ বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেই
কর্মকর্তার সঙ্গে বাদানুবাদের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য কেউ শোনেনি বলেও জানিয়েছেন
ভোগলে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এবেলা।
No comments:
Post a Comment