টেকনিক আর দক্ষতায় দুই দলের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে ট্যাকটিক্যালি ও শারীরিক সক্ষমতায় বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানই এগিয়ে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে মারুফুল হকের দলকে। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েই দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ হিসেবে পরিচিত এই টুর্নামেন্টের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করতে আত্মবিশ্বাসী মামুনুলরা—সোহেল-শহিদুলরা।
বৃহস্পতিবার কেরালার ত্রিবান্দ্রাম স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।
সেই ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফের একমাত্র শিরোপাটি জিতেছিল বাংলাদেশ। তারপর আর কখনো ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি বাংলাদেশের। গত তিন আসরে তো বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। তবে অতীত হতাশা মুছে এবার ভালো কিছু করতে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ।
কোচ ফ্যাবিও লোপেজের বিদায়ের পর মারফুল বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়ে সময় পেয়েছেন মাত্র ২১ দিন। তবে অল্প সময়ে দলকে তৈরি করে সাফ শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জটা বেশ ভালোমতোই নিয়েছেন মারুফুল। সেই চ্যালেঞ্জের প্রথমেই আফগানিস্তান নামের বড় পরীক্ষা।
এখনো ফিটনেস ফিরে পাননি বলে এই ম্যাচে দলে নেই বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। তবে আশা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ম্যাচে জামালকে মাঠে নামানো যাবে। জামালের জায়গায় খেলবেন মোনায়েম রাজু। জামালের শূন্যতা পূরণে রাজুর দিকেই তাকিয়ে আছেন কোচ মারুফুল। রাজুর ওপর আস্থাও রাখছেন কোচ।
এ ছাড়া চোটের কারণে টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন না বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার জাহিদ হোসেন এমিলি। তার জায়গায় শাখাওয়াত হোসেন রনির খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। রনির ওপর তাই গোলের বড় দায়িত্বই বর্তাচ্ছে। আর দায়িত্ব পালনে রনি নিজেকে প্রস্তুত বলেই ঘোষণা করেছেন নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ হেডে জয়সূচক গোল করে। এবার সাফেও তার দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনুপ্রেরণা নিতে পারে অতীত ইতিহাস থেকেও। আফগানদের কাছে যে কখনোই হারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ সাক্ষাতে চার ড্রয়ের বিপরীতে এক জয়। ঢাকায় গত জুনে দুই দলের সবশেষ ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আজকের ফল কী হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
No comments:
Post a Comment